বিষয়বস্তুতে চলুন

গজনভি রাজবংশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
غزنویان
গজনভি সাম্রাজ্য

৯৭৭–১১৮৬
গজনভি সাম্রাজ্যের সর্বো‌চ্চ সীমা
গজনভি সাম্রাজ্যের সর্বো‌চ্চ সীমা
রাজধানীগজনা
(৯৭৭–১১৬৩)
লাহোর
(১১৬৩–১১৮৬)[]
প্রচলিত ভাষাফারসি (সরকারি ও আদালত;লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা)[][]
আরবি (ধর্মীয়)
তুর্কি (সামরিক)[]
ধর্ম
সুন্নি ইসলাম
সরকারসাম্রাজ্য
সুলতান 
• ৯৭৭–৯৯৭
সবুক্তগিন (প্রথম)
• ১১৬০–১১৮৬
খসরু মালিক (শেষ)
উজির 
• ৯৯৮–১০১৩
আবুল হাসান ইসফারাইনি (প্রথম উল্লেখিত)
• ১২ শতক
আবুল মালি নাসরাল্লাহ (শেষ উল্লেখিত)
ঐতিহাসিক যুগমধ্য যুগ
• প্রতিষ্ঠা
৯৭৭
• বিলুপ্ত
১১৮৬
আয়তন
১০২৯ est.৩৪,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৩,০০,০০০ বর্গমাইল)
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
সাফফারি রাজবংশ
সামানি
মামুনি
ফারিগুনি
ঘুরি রাজবংশ
সেলজুক সাম্রাজ্য
বর্তমানে যার অংশ

গজনভি রাজবংশ (ফার্সি: غزنویان) ছিল তুর্কি-পারসিয়ান উৎসের একটি মুসলিম রাজবংশ।[][][] সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সীমায় তা পারস্যের বিরাট অংশ, ট্রান্সঅক্সানিয়ার অধিকাংশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এর স্থায়িত্বকাল ছিল ৯৭৭ থেকে ১১৮৬ সাল পর্যন্ত।[][][১০] সবুক্তগিন তার শ্বশুর আল্প তিগিনের মৃত্যুর পর ইনি গজনির (বর্তমান আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশ) শাসক হন ও এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। আল্প তিগিন ছিলেন হিন্দুকুশের উত্তরে বৃহত্তর খোরাসান অঞ্চলের সামানিদের সাবেক সেনাপতি।[]

রাজবংশটি মধ্য এশিয়ার তুর্কি বংশোদ্ভুত হলেও তা ভাষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও অভ্যাসের দিক থেকে পারস্যায়িত হয়ে যায়।[১১][১২][১৩][১৪] তাই কেউ কেউ এটিকে তুর্কি না বলে “পারস্য রাজবংশ” উল্লেখ করেন।[][১০][১৫][১৬][১৭][১৮][১৯][২০][২১]

সবুক্তগিনের পুত্র মাহমুদ গজনভি সামানিদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।[২২] তিনি পূর্বে আমু দরিয়া, সিন্ধু অববাহিকা ও ভারত মহাসাগরের দিকে এবং পশ্চিমে রাইহামাদানে (বর্তমান ইরানের অন্তর্গত) গজনভি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান। প্রথম মাসুদের শাসনামলে গভনভি রাজবংশ দান্দানাকানের যুদ্ধের পর সেলজুকদের কাছে তার পশ্চিম অংশে নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে।[২৩][২৪] ১১৫১ সালে সুলতান বাহরাম শাহ ঘুরি রাজবংশের রাজা আলাউদ্দিন হুসাইনের কাছে গজনি হারান।

শাসকের তালিকা

[সম্পাদনা]
# উপাধি নাম রাজত্বকাল পরের শাস্ক নোট
নাসির-উদ-দ্বীন
?
সবুক্তগীন ৯৭৭–৯৯৭
উপাধি নেই ইসমাইল ৯৯৭–৯৯৭(৭ মাস) সবুক্তগীনের কনিষ্ঠ ছেলে
ইয়ামিন আদ-দৌলা
یمین الدولہ ابو لقاسم
মাহমুদ ৯৯৭–১০৩০ সবুক্তগীনের বড় ছেলে

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Lahore" Encyclopædia Britannica
  2. Homa Katouzian, "Iranian history and politics", Published by Routledge, 2003. pg 128: "Indeed, since the formation of the Ghaznavids state in the tenth century until the fall of Qajars at the beginning of the twentieth century, most parts of the Iranian cultural regions were ruled by Turkic-speaking dynasties most of the time. At the same time, the official language was Persian, the court literature was in Persian, and most of the chancellors, ministers, and mandarins were Persian speakers of the highest learning and ability"
  3. "Persian Prose Literature." World Eras. 2002. HighBeam Research. (3 September 2012);"Princes, although they were often tutored in Arabic and religious subjects, frequently did not feel as comfortable with the Arabic language and preferred literature in Persian, which was either their mother tongue—as in the case of dynasties such as the Saffarids (861–1003), Samanids (873–1005), and Buyids (945–1055)—or was a preferred lingua franca for them—as with the later Turkish dynasties such as the Ghaznawids (977–1187) and Saljuks (1037–1194)". [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ মে ২০১৩ তারিখে
  4. C.E. Bosworth, The Ghaznavids:994–1040, (Edinburgh University Press, 1963), 134.
  5. Islamic Central Asia: an anthology of historical sources, Ed. Scott Cameron Levi and Ron Sela, (Indiana University Press, 2010), 83;The Ghaznavids were a dynasty of Turkic slave-soldiers...
  6. "Ghaznavid dynasty"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৩-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০৯ 
  7. Bloom, Jonathan; Blair, Sheila (২০০৯-০৫-১৪)। Grove Encyclopedia of Islamic Art & Architecture: Three-Volume Set (ইংরেজি ভাষায়)। OUP USA। আইএসবিএন 978-0-19-530991-1 
  8. C.E. Bosworth: The Ghaznavids. Edinburgh, 1963
  9. C.E. Bosworth, "Ghaznavids" in Encyclopaedia Iranica, Online Edition 2006
  10. C.E. Bosworth, "Ghaznavids", in Encyclopaedia of Islam, Online Edition; Brill, Leiden; 2006/2007
  11. Christian, David (১৯৯৮)। A History of Russia, Central Asia, and Mongolia: Inner Eurasia from prehistory to the Mongol Empire (ইংরেজি ভাষায়)। Blackwell Publishers। পৃষ্ঠা ৩৭০। Though Turkic in origin […] Alp Tegin, Sebuk Tegin and Mahmud were all thoroughly Persianized 
  12. Meri, Josef W. (২০০৬)। "Ghaznavids"। Medieval Islamic Civilization: An Encyclopedia (ইংরেজি ভাষায়)। Psychology Press। পৃষ্ঠা ২৯৪। আইএসবিএন 978-0-415-96690-0 
  13. Sydney Nettleton Fisher and William Ochsenwald, The Middle East: a history: Volume 1, (McGraw-Hill, 1997);" .
  14. Meisami, Julie Scott, Persian historiography to the end of the twelfth century, (Edinburgh University Press, 1999), 143.
  15. B. Spuler: The Disintegration of the Caliphate in the East; in: P.M. Holt, Ann K.S. Lambton, Bernard Lewis (Hrsg.): The Central Islamic Lands from Pre-Islamic Times to the First World War; The Cambridge History of Islam, Vol. 1a; Cambridge: Cambridge University Press, 1970; pg. 147: "One of the effects of the renaissance of the Persian spirit evoked by this work was that the Ghaznavids were also Persianized and thereby became a Persian dynasty."
  16. M.A. Amir-Moezzi, "Shahrbanu", Encyclopaedia Iranica, Online Edition
  17. Encyclopaedia Iranica, Iran: Islamic Period – Ghaznavids, E. Yarshater
  18. B. Spuler, "The Disintegration of the Caliphate in the East", in the Cambridge History of Islam, Vol. IA: The Central islamic Lands from Pre-Islamic Times to the First World War, ed. by P.M. Holt, Ann K.S. Lambton, and Bernard Lewis (Cambridge: Cambridge University Press, 1970). pg 147
  19. Anatoly M Khazanov, André Wink, "Nomads in the Sedentary World", Routledge, 2padhte padhte to pagla jayega aadmi, A History of Russia, Central Asia and Mongolia, Blackwell Publishing, 1998. pg 370
  20. Robert L. Canfield, Turko-Persia in historical perspective, Cambridge University Press, 1991. pg 8
  21. John Perry. Iran & the Caucasus, Vol. 5, (2001), pp. 193–200. "(John Perry. Iran & the Caucasus, Vol. 5, (2001), pp. 193–200. THE HISTORICAL ROLE OF TURKISH IN RELATION TO PERSIAN OF IRAN)
  22. The early Ghaznavids, C.E. Bosworth, The Cambridge History of Iran, Vol. 4, ed. C. E. Bosworth, (Cambridge University Press, 1975), p. 170
  23. Truths and Lies: Irony and Intrigue in the Tārīkh-i Bayhaqī, Soheila Amirsoleimani, Iranian Studies, Vol. 32, No. 2, The Uses of Guile: Literary and Historical Moments (Spring, 1999), 243.
  24. Ghaznawids, B. Spuler, The Encyclopedia of Islam, Vol II, Ed. B.Lewis, C. Pellat and J. Schacht, (Brill, 1991), 1051.

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]